দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) পাওয়ার ক্যাবল কাটা পড়ায় দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি ভর করেছে। পটুয়াখালীতে সাবমেরিন ক্যাবল-২-এর ল্যান্ডিং স্টেশনের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে রোববার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পাওয়ার ক্যাবল কাটা পড়ে। তারপর থেকে দেশে ইন্টারনেটে গতি কমে গেছে।
আজ রবিবার কোম্পানি থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘মূল ক্যাবল নয়, পাওয়ার ক্যাবল কাটা পড়েছে। ফলে রিপিটারে বিদ্যুৎ যাচ্ছে না। এজন্য ব্যান্ডউইথ পেতে সমস্যা হচ্ছে। সাবমেরিন ক্যাবল ১ ও আইটিসি দিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ধীরগতি ভর করেছে ইন্টারনেটে।’
তিনি জানান, ৪০-৫০ শতাংশ গতি কমে গেছে।
জানা গেছে, ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকায় খারাপ আবহাওয়া থাকায় পাওয়ার ক্যাবল মেরামতে সময় লাগছে। আজকের মধ্যেই মেরামত সম্পন্ন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
এদিকে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) জানিয়েছে, কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবলের লাইনে সমস্যা হয়েছে। বিএসসিসিএল লাইন মেরামতে কাজ করছে।
আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) প্রতিষ্ঠান লেভেল-থ্রি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুনায়েদ আহমেদ বলেন,
তিনি আরও বলেন,
আমরা জেনেছি কুয়াকাটা এলাকায় খারাপ আবহাওয়া বিরাজ করায় পাওয়ার ক্যাবল মেরামতে দেরি হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা গতিবিষয়ক সমস্যায় পড়েছেন।’
তিনি জানান, সাবমেরিন ক্যাবল-১ ও আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) মাধ্যমে প্রাপ্ত ব্যান্ডউইথ দিয়ে আমরা ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছি। এতে সেবার মান খারাপ হচ্ছে। গতি অনেক কমে গেছে। তিনি আরও জানান, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৬০ শতাংশ যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ১ হাজার ৭৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। এর অর্ধেকের বেশি আসে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে।
সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এবং আইটিসি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট সেবা প্রদান অব্যাহত আছে। তবে SMW-5 সাবমেরিন ক্যাবল পুণরায় মেরামত করে চালু না হওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকবে।
উল্লিখিত ক্যাবল মেরামতকালীন সময়ে সম্মানিত গ্রাহকগণের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দু:খিত।