1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন

পুজিবাজারের জুয়াড়ি ধরতে ছয় মাস থেকে এক বছর লাগে

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পুজিবাজারের একজন জুয়াড়ি ধরতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্টক এক্সচেঞ্জ দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিলে আমরা তাঁদের ধরতে পারি। তারপর নিয়ম অনুযায়ী তথ্যপ্রমাণ যাচাই-বাছাই করে শাস্তি দিতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লেগে যায়। ততক্ষণে বিনিয়োগকারী ও বাজারের যা ক্ষতি করার তা করে ফেলেন তাঁরা।’

পুজিবাজার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় এই গোলটেবিলে সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএ সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান। এতে আলোচকেরা দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে ব্যাংকের পরিবর্তে পুঁজিবাজারকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

আলোচনায় অংশ নেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বিএসইসির সাবেক দুই চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী ও এম খায়রুল হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. জাহিদ হাসান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. এজাজুল ইসলাম, পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ হেলাল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, আইসিএবির কাউন্সিল সদস্য গোপাল চন্দ্র ঘোষ, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হাসান ইমাম এবং ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের পুজিবাজার নিয়ে বিশ্লেষকেরা উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু উন্নত দেশে ঋণ ও সঞ্চয়ের সুদহার ১ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে। জাপানে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখলে তাঁর অর্থ কেটে রাখা হয়। ঋণ নিলে সুদ দশমিক ৫ থেকে ১ শতাংশ। সেখানে মানুষ ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় শেয়ারবাজারে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে অবস্থা উল্টো। এখানে আমানতের সুদ ৭ শতাংশের কাছাকাছি। ঋণের সুদ ৯ শতাংশ। মূল্যস্ফীতিও ৬ শতাংশের কাছাকাছি। ফলে মানুষ শেয়ারবাজারে যেতে চায় না।’ ভারতে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের (ফেসভ্যালু) নিচে। তাঁর প্রশ্ন, বাংলাদেশে কতটি কোম্পানি বন্ধ? কতটি কোম্পানি বাজার থেকে বিদায় নিয়েছে? তিনি বলেন, সমালোচনা করতে হবে ভালোর জন্য। তার আগে বাস্তবতা বুঝতে হবে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, তখন একভাবে চিন্তা করতাম। আর যখন মাঠে এসেছি, দেখছি বইয়ে লেখা নিয়মকানুন সব জায়গায় পালন করা যায় না। বাস্তবতার নিরিখে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমি অনেক কিছুই করতে চাই, কিন্তু সম্ভব নয়। কারণ, অনেক কিছুই প্রস্তুত নয়।’

সরকারি কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিয়ে শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারের যেকোনো বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সব সময় সচেতন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চাচ্ছেন সরকারি কোম্পানিগুলো বাজারে আনতে, কিন্তু কোম্পানিগুলোর পর্ষদ চায় না। এসব কোম্পানির পরিচালনায় গতিশীলতা আনতে পর্ষদগুলো ভেঙে দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন পণ্য চালু করতে চাই। কিন্তু দক্ষ লোকের খুবই অভাব। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রস্তুত থাকলে এ মাসেই সেকেন্ডারি বাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ চালু হবে। এতে বাজার মূলধন জিডিপির ২৫ শতাংশে চলে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর যেভাবে সহযোগিতা করছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা শক্তিশালী বন্ড মার্কেট দেখতে পাব।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের পুজিবাজার নিয়ে বিশ্লেষকেরা উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু উন্নত দেশে ঋণ ও সঞ্চয়ের সুদহার ১ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে। জাপানে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখলে তাঁর অর্থ কেটে রাখা হয়। ঋণ নিলে সুদ দশমিক ৫ থেকে ১ শতাংশ। সেখানে মানুষ ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় পুজিবাজারে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে অবস্থা উল্টো। এখানে আমানতের সুদ ৭ শতাংশের কাছাকাছি। ঋণের সুদ ৯ শতাংশ। মূল্যস্ফীতিও ৬ শতাংশের কাছাকাছি। ফলে মানুষ পুজিবাজারে যেতে চায় না।’ ভারতে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের (ফেসভ্যালু) নিচে। তাঁর প্রশ্ন, বাংলাদেশে কতটি কোম্পানি বন্ধ? কতটি কোম্পানি বাজার থেকে বিদায় নিয়েছে? তিনি বলেন, সমালোচনা করতে হবে ভালোর জন্য। তার আগে বাস্তবতা বুঝতে হবে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, তখন একভাবে চিন্তা করতাম। আর যখন মাঠে এসেছি, দেখছি বইয়ে লেখা নিয়মকানুন সব জায়গায় পালন করা যায় না। বাস্তবতার নিরিখে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমি অনেক কিছুই করতে চাই, কিন্তু সম্ভব নয়। কারণ, অনেক কিছুই প্রস্তুত নয়।’

সরকারি কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিয়ে শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারের যেকোনো বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সব সময় সচেতন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চাচ্ছেন সরকারি কোম্পানিগুলো বাজারে আনতে, কিন্তু কোম্পানিগুলোর পর্ষদ চায় না। এসব কোম্পানির পরিচালনায় গতিশীলতা আনতে পর্ষদগুলো ভেঙে দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন পণ্য চালু করতে চাই। কিন্তু দক্ষ লোকের খুবই অভাব। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রস্তুত থাকলে এ মাসেই সেকেন্ডারি বাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ চালু হবে। এতে বাজার মূলধন জিডিপির ২৫ শতাংশে চলে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর যেভাবে সহযোগিতা করছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা শক্তিশালী বন্ড মার্কেট দেখতে পাব।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ