ঈদের আগে টানা কয়েক সপ্তাহ দর পতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। আশা করা হচ্ছিল, ঈদের পরে লেনদেন শুরু হলে তাতে হয়তো একটু গতি দেখা যাবে। কিন্তু প্রত্যাশার সাথে মিলেনি বাস্তবতা।
ঈদ পরবর্তী সপ্তাহে তিনদিন লেনদেন হয়েছে বাজারে, সে ক’দিনই কমেছে মূল্যসূচক। বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ লেনদেন দিবসে লেনদেনও কমে গেছে ব্যাপকভাবে।
সর্বশেষ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ২৯ ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ৬১ শতাংশের দাম। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৮৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ২৩৪টির। আর ৩৯টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমেছে। আগের সপ্তাহে তা ৯ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমেছিল। সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট।
এ সপ্তাহে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএক্স শরীয়াহ ইন্ডেক্স ১০ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমেছে।
অন্যদিকে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমেছে।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ কমে ৬৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।