পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বুধবার (২৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে-
ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.১১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৩৩ টাকা।
এদিকে, অর্ধবার্ষিকে ( জানুয়ারি-জুন’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৭ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৭১ টাকা।
৩০ জুন, ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৭.২৫ টাকা।
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৫ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৬২ টাকা।
এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৫৩ টাকা। ৩০ জুন, ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৫.৯৩ টাকা।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৯১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৮৯ পয়সা।
অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ৮৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৮৯ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টকা ৯৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা।
প্রথম দুই প্রান্তিকে এককভাবে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ১ টকা ৯১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৮৮ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ১৪ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৬ টাকা ৩০ পয়সা।
অন্যদিকে দুই প্রান্তিক মিলিয়ে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৫ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৬ টাকা ৫০ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ৩৩ টাকা ৯৫ পয়সা। আর একক ইপিএস ছিল ৩৩ টাকা ৪৩ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ১ টাকা ১৪পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা টাকা ৮ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৬ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে ব্যাংকটির একক ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩৯ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩২ টাকা ৯২ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ২৭ টাকা ১০ পয়সা। আর এককভাবে এনএভিপিএস ছিল ২৬ টাকা ৫৩ পয়সা।
লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.৭৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৮.৪৯ টাকা।
এদিকে, অর্ধবার্ষিকে ( জানুয়ারি-জুন’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫.১৬ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৬.৭৬ টাকা।
এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৩.৭৪ টাকা। ৩০ জুন, ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩৫৭.৮৫ টাকা।
ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৭৬ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৬ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৭৫ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ৪৫ টাকা ৯৮ পয়সা।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ১৩ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২৯ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ঋণাত্মক ৪৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪৫ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ঋণাত্মক ১৭ টাকা ৪৩ পয়সা।
এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৬ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.৮৪ টাকা।
(জানুয়ারি’২০-জুন’২০) ৬ মাসে ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ১.১৯ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.২৫ টাকা।
৩০ জুুুন, ২০২০ এ সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ঋণা ১.০৫ টাকা এবং ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ২২.২৮ টাকা।
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড: তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে (এপ্রিল’২০-জুন,২০) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি ১৫ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
অন্যদিকে আলোচিত বছরের তিন প্রান্তিকে ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় ছিল ০৯ পয়সা।
৩০ জুন,২০ সমাপ্ত সময়ে ফান্ডটি বাজার মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ৮ টাকা ৮৬ পয়সা। একই সময়ে ক্রয় মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ১১ টাকা ২৭ পয়সা।