পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১ কোম্পানি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার (২৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে জানা যায়,
কোম্পানিগুলো হচ্ছে-
লংকাবাংলা ফিন্যান্স লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) প্রথম দুই প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) বা সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৫০ পয়সা।
অন্যদিকে এই সময়ে এককভাবে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সলো ইপিএস হয়েছিল ৭৬ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৬ টাকা ৬২ পয়সা।
অন্যদিকে দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির এককভাবে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৮৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এককভাবে ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৬ টাকা ২১ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের সমন্বিত শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১৮ টাকা ৬৩ পয়সা। আর এককভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৯ টাকা ৬৮ পয়সা।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা।
অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টকা ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টকা ৭৯ পয়সা।
অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে এককভাবে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ১ টকা ৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টকা ৭৩ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ১১ পয়সা।
অন্যদিকে দুই প্রান্তিক মিলিয়ে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ১২ পয়সা।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৫২ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮৭ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৭০ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ২১ টাকা ৯৮ পয়সা।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ১ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১ টকা ৬৩ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২১ টাকা ৮৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৯ টাকা ৬৪ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ৩৮ টাকা ৮৩ পয়সা।
ফনিক্স ফিন্যান্স লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২৬ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৩ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৮০ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ২৩ টাকা ৬ পয়সা।
এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ১ টাকা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৫৬ পয়সা।
প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছিল ৪ পয়সা। সে হিসেবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস দাঁড়ায় ৯৬ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ১৪ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪ টাকা ৩৬ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ২১ টাকা ৬৭ পয়সা।
আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড: ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৫৬ পয়সা।
অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (EPS) হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৯৭ পয়সা।
তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ১ টাকা ৮৪ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে শেয়ার প্রতি সমন্বিত প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১০ টাকা ৩২ পয়সা।
পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি: প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ,২০২০) ১৫ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে। আগের বছর একই সময় কমেছিল ৪৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৯৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময় ছিল এক হাজার ৭৮৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল, ২০১৮-জুন,২০১৮) ৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার প্রিমিয়াম আয় কমেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৪৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
আগের বছর একই সময় কোম্পানির প্রিমিয়াম আয় বেড়েছিল ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। একই সময়ে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৭৯০ কোটি ২ লাখ টাকা।
এদিকে ৬ মাসে কোম্পানিটির প্রিমিয়াম আয় কমেছে ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার। আর তহবিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি ৬ লাখ টাকার। আগের বছর একই সময় ছিল ৪২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। আর তহবিলের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৭৪৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৯ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৪ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর একই প্রান্তিকে ছিল ৪ টাকা ০৬ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ৫১ টাকা ১২ পয়সা।
প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ০৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৫৩ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ৪৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯০ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত ক্যাশ ফ্লো ছিল ৭৮ পয়সা। আগের বছর একই প্রান্তিকে ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার সমন্বিত প্রতি সমন্বিত প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ২৩ টাকা ৮৮ পয়সা।
রেকিট বেনকিজার লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০-জুন’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৩ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২১ টাকা ৮২ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৭ টাকা ৫১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৭ টাকা ২১ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২১১ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের বছর একই প্রান্তিকে ছিল ৭২ টাকা ২২ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ২০০ টাকা ১৫ পয়সা।