পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পানি দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের উদ্যোক্তা পারভীন আক্তার নাসির ২৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৬টি শেয়ার তার দুই ছেলের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছেন। এ উদ্যোক্তা তার দুই ছেলে আনিস উদ্দিন সিনহা ও হারুন সিনহার মধ্যে সমান ভাগে এ শেয়ার বণ্টন করে দিয়েছেন। তারা দুজনেই ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮টি করে শেয়ার পেয়েছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারির এক ঘোষণা অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং সিস্টেমসের বাইরে গিফট হিসেবে এ শেয়ার বণ্টন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানা যায় ।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ভালো ব্যবসা করেছে একমি ল্যাবরেটরিজ। আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। আর কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। বছরের প্রথমার্ধে একমি ল্যাবরেটরিজের বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৬১ কোটি টাকার। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে বিক্রি ছিল প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ১৬১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১০৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৭৯ কোটি ১৬ লাখ টাকার বেশি। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৩৮ দশমিক ২২ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৩ টাকা ৭৪ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ১৪৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বৃদ্ধি পায় ১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বেশি বা ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৪২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৮৫ পয়সা।