প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৩-১৭ ফেব্রুয়ারি) শীর্ষ লেনদেনের তালিকায় থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে চার কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছেন বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে লেনদেন বৃদ্ধির পরও দর পতনে এগিয়েছিল কোম্পানিগুলো। সেগুলো হলো- ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি), সাইফ পাওয়ারটেক এবং সোনালী পেপার। ডিএসই সুত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের মতে, কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বড় বিনিয়োগকারীদের বিক্রীর চাপ থাকায় কোম্পানিগুলোর শেয়ারে পতন হয়েছে। বড় বিনিয়োগকারীরা যদি বাই মুডে থাকতো, তাহলে হয়তো কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ইতিবাচক থাকতো।
গেল সপ্তাহে লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৬৫২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৪৬ কোটি ২৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১১৩ টাকা ৩০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১১১ টাকা ১০ পয়সা। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২ টাকা ২০ পয়সা বা ১.৯৪ শতাংশ। শেষ কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ারদর সামান্য ইতিবাচক ছিল।
লেনদেন তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন-বিএসসি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২২৫ কোটি ৮৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১৪১ টাকা ১০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৩২ টাকা ৪০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর কমেছে ৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ৬.১৭ শতাংশ। শেষ কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ারদর নেতিবাচক প্রবণতায় ছিল।
লেনদেনের তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল সাইফ পাওয়ারটেক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পনিটির ২ কোটি ৫৩ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১১০ কোটি ৪৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৪৫ টাকা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর কমেছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫.৩৩ শতাংশ। শেষ কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ারদর নেতিবাচক প্রবণতায় ছিল।
সোনালী পেপার সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১১ লাখ ২০ হাজার ২৮১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৮১ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৭২৭ টাকা ২০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৭১২ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের ব্যবধানে দর কমেছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ১.৯৮ শতাংশ। শেষ কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ারদর নেতিবাচক প্রবণতায় ছিল।