1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন

বছর শেষে ইপিএস বৃদ্ধিতে শীর্ষ ২০টিই মৌলভিত্তির

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
share-44

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতি বিনিয়োগ করে বছর শেষে লভ্যাংশ পাওয়া যায়, যা ব্যাংক বা অন্য কোথাও আমানত রাখার চেয়ে বেশি হয়। এটিই পুঁজিবাজারের বৈশিষ্ট্য। অথচ বছরজুড়ে আলোচনায় থাকে দুর্বল ও ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ার। কিন্তু গত বছর শেষে দেখা যায়, শেয়ারপ্রতি আয়ের (ইপিএস) দিক দিয়ে শীর্ষে উঠে আসা ২০ কোম্পানির সবগুলোই মৌলভিত্তির।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রতিবেদন থেকে জানা যায় এমন তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শীর্ষ ২০-এ উঠে আসা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৩টির ইপিএস আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। বাকি সাতটির কিছুটা কমেছে। কিন্তু তারপরও শীর্ষ ২০টিতে জায়গা করে নিয়েছে। আবার এই ২০টি কোম্পানির গড় ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা।

শীর্ষ আয়ের ২০ কোম্পানি যথাক্রমে রেকিট বেনকিজার, ম্যারিকো বাংলাদেশ, লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রেনাটা লিমিটেড, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, গ্রামীণফোন লিমিটেড, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস, ফার্মা এইডস লিমিটেড, দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘মৌলভিত্তির কোম্পানির ইপিএস সর্বোচ্চ হওয়া ইতিবাচক। এটিই পুঁজিবাজারের বৈশিষ্ট্য। এতে বিনিয়োগকারীরা মৌলভিত্তির কোম্পানির প্রতি আগ্রহ বাড়বে। বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে। পুঁজিবাজারে সাড়ে তিনশ’র বেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। সবগুলোই মৌলভিত্তির নয়। এমন কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম। পুঁজিবাজারের ভিত শক্তিশালী করতে এমন মৌলভিত্তির কোম্পানিই বাজারে তালিকাভুক্ত করা উচিত।’

প্রাপ্ত তথ্য মতে , ২০২১ সালে রেকিট বেনকিজারের ইপিএস আগের বছরের চেয়ে ২৫ টাকা ৩২ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সায়। ২০২০ সালে এটি ছিল ১৩১ টাকা ছয় পয়সা।

আয় বেড়েছে ম্যারিকো বাংলাদেশেরও। ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা বেড়ে ৮৪ টাকা এক পয়সা থেকে ২০২১ সালে ইপিএস হয়েছে ৯৮ টাকা ৬৯ পয়সা। তৃতীয় সর্বোচ্চ আয় করা কোম্পানি লিনডে বাংলাদেশের ইপিএস আগের বছরের তুলনায় কমেছে ১০ টাকা ৩৮ পয়সা। ২০২০ সালে ৮০ টাকা ৯২ পয়সা ইপিএসের বিপরীতে ২০২১ সালে এটি দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৫৪ পয়সায়।

এছাড়া অন্য কোম্পানিগুলোর ২০২০ ও ২০২১ সালের ইপিএস যথাক্রমে বার্জার পেইন্টস ৫২ টাকা ২২ পয়সা ও ৫৮ টাকা ০৩ পয়সা, ওয়ালটন হাইটেক ২৩ টাকা ৯৮ পয়সা ও ৫৪ টাকা ১১ পয়সা, রেনাটা লিমিটেডের ৪১ টাকা ১৭ পয়সা ও ৪৭ টাকা ২২ পয়সা, ইউনিলিভারের ৮১ টাকা ৮৩ পয়সা ও ৪৩ টাকা ৯৪ পয়সা, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৩৫ টাকা ১১ পয়সা ও ২৮ টাকা ৪৫ পয়সা, পদ্মা অয়েলের ২৯ টাকা ০৭ পয়সা ও ২৭ টাকা ৭৯ পয়সা, গ্রামীণফোনের ২৫ টাকা ৫৬ পয়সা ও ২৭ টাকা ৫৪ পয়সা, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর ৫১ টাকা ৩৭ পয়সা ও ২০ টাকা ১৬ পয়সা, ইউনাইটেড পাওয়ারের ১০ টাকা ২৪ পয়সা ও ১৮ টাকা ৮০ পয়সা এবং যমুনা অয়েলের ২১ টাকা ১৯ পয়সা ও ১৮ টাকা ১৩ পয়সা।

এছাড়া স্কয়ার ফার্মার ১৫ টাকা ০৭ পয়সা ও ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিংয়ের ৩ টাকা ৯০ পয়সা ও ১৬ টাকা ৬৫ পয়সা, ফার্মা এইডসের ১৬ টাকা ৮২ পয়সা ও ১৬ টাকা ১১ পয়সা, ইবনে সিনার ১২ টাকা ৫৬ পয়সা ও ১৫ টাকাক ৬৬ পয়সা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লের ৫ টাকা ৮০ পয়সা ও ১১ টাকা ৫৭ পয়সা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ৮ টাকা ৬৭ পয়সা ও ১১ টাকা ৪৯ পয়সা এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২০২০ ও ২০২১ সালের ইপিএস যথাক্রমে ১০ টাকা ১৩ পয়সা ও ১০ টাকা ১৯ পয়সা। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই ২০টি কোম্পানির ২০২১ সালের মোট শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৭৬৯ টাকা ৪৪ পয়সা এবং গড় ইপিএস ৩৮ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে মোট ইপিএস ছিল ৭৪০ টাকা ৬৮ পয়সা এবং গড় ইপিএস ৩৭ টাকা ০৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে শীর্ষ ২০ কোম্পানির গড় ইপিএস বেড়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা প্রায়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ