নতুন বছরের প্রথম মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগের ধারা ছিল নিম্নমুখী। এ সময়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশী।
সংশ্লিষ্ট থেকে এই তথ্য জানা যায় ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে , জানুয়ারি মাসে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ১৭৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার বিক্রি করেছে। এর বিপরীতে নতুন করে শেয়ার কেনা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ শেয়ার কেনার চেয়ে তাদের বিক্রির পরিমাণ ছিল ৬০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের মাসে অর্থাৎ ২০২১ সালে ডিসেম্বরে তারা শেয়ার বিক্রির চেয়ে কেনায় বেশি সক্রিয় ছিল। ওই মাসে শেয়ার কেনার পরিমাণ ছিল শেয়ার বিক্রির চেয়ে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বেশি।
জানুয়ারিতে শেয়ার বিক্রির পরিমাণ বাড়লেও তাতে তেমন উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, আমাদের বাজারমূলধনের বিপরীতে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই সামান্য। তাই সাম্প্রতিক বাজারের উপর এর প্রভাব খুবই সামান্য। তাছাড়া বিক্রি বেড়ে যাওয়া মানেই সব বিনিয়োগ বিদেশে ফিরে যাচ্ছে না। স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মতো তারাও মাঝেমধ্যে মুনাফা তুলে নেয়। পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি অনুকুল মনে হলে ফের নতুন বিনিয়োগে সক্রিয় হয়।
তবে তারা এটিও মনে করেন, দেশের পুঁজিবাজারে আঙ্গুলে গোনা কয়েকটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের ও ফান্ডের ছোট আকারের তহবিলই বিনিয়োগ হচ্ছে ঘুরেফিরে। এই বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আসছে না বললেই চলে। প্রোডাক্টের বৈচিত্র না থাকা, ভাল শেয়ারের ঘাটতি, তালিকাভুক্ত বেশীরভাগ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকা, ইনসাইডার ট্রেডিং ও নীতির ধারাবাহিকতার অভাবে তারা এই বাজারের প্রতি বিনিয়োগে আগ্রহী নয়।