নিউইয়র্ক পুঁজিবাজারে পতনের প্রভাব পড়েছে এশিয়ার বাজারে। গত কয়েক দিন যাবত এশিয়ার পুঁজিবাজারে দর পতনের ধারা অব্যহত রয়েছে।
ইউএস নিউজ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া অঞ্চলে টোকিও, সাংহাই, সিউল এবং সিডনি’র পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে আশার কথা হচ্ছে হংকং এর শেয়ার বাজার ছিল কিছুটা ঊর্ধমুখী।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বৃহৎ পুঁজিবাজার নিউইয়র্ক। এখানে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম হ্রাস পাওয়া অব্যাতত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে প্রযুক্তি খাতের শেয়ার দাম কমার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এদিকে এশিয়া অঞ্চলে করোনা ভাইরাস এবং করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান রয়েছে। যা নীতি নির্ধারকদের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। গত বছর মহামারী চলাকালীন সময়ে এশিয়ার অর্থনীতি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য লড়াই চলছে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে।
গতকাল জাপানের পুঁজিবাজারে নিকি-২২৫ হ্রাস পেয়েছে ১.৮ শতাংশ। দেশটির শেয়ার বাজারের প্রধান সুচক ২৭,৭৫১.৫৮ এ অবস্থান করছে।
অস্ট্রেলিয়ার শেয়ার বাজারে সুচক ০.৪ শতাংশ কমে ৭,৩৮১.৩০ দাঁড়িয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে। গতকাল দেশটির পুঁজিবাজারের সুচক ০.১ শতাংশ বেড়ে ২,৮৬৪.০১ হয়েছে। এবং হংকং পুঁজিবাজারের হ্যাং সেং ০.৫ শতাংশ বেড়ে ২৪,২২৬.০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, মহামারীর ঊর্ধ্বগতি এবং বিনিয়োগকারীরা সতর্কতা অবলম্বন করায় নিউইয়র্ক পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের বড় পতন হচ্ছে। গতকাল এখানে সুচক এসএন্ডপি-৫০০ হ্রাস পেয়েছে ১.৮ শতাংশ এবং ৪,৫৭৭.১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।