পতনের ধারা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না এশিয়ার পুঁজিবাজার। এ অঞ্চলের পুঁজিবাজার নেতিবাচক ধারায় থাকায় অধিকাংশ শেয়ারের দাম হ্রাস পেয়েছে। এ অঞ্চলে অধিকাংশ পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকগুলি হ্রাস পাওয়ায় এমন হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সিএনবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাজারে প্রধান সূচকগুলির পতনে এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে। তবে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে। অধিকাংশ দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থান নেতিবাচক হলেও কয়েকটি স্থানে বিনিযোগকারিদের জন্য সুখবর বিরাজ করছে।
জাপানে শেয়ার বাজারে সুচক নিকি-২২৫ কমেছে ০.২৭ শতাংশ। দেটির শেয়ার বাজারে সুচকের অবস্থান ২৮,২৫৭.২৫। একই সময়ে টপিক্স সূচক ০.৪২ শতাংশ কমে ১,৯৭৮.৩৮ এ দাঁড়িয়েছে।
জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বল্পমেয়াদী সুদের হারের লক্ষ্যমাত্রা -০.১ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখেছে। এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা প্রয়োজনীয় পরিমাণে জাপানি সরকারী বন্ড ক্রয় করবে যাতে আগামি ১০ বছরের জেজিবি’র প্রবৃদ্ধি ০% এর মধ্যে থাকবে।
হংকং এর হ্যাং সেং সূচক ০.৪৩ শতাংশ কমে ২৪,১১২.৭৮ দাঁড়িয়েছে। যেখানে প্রযুক্তি-কেন্দ্রিক হ্যাং সেং টেক সূচক ০.৪৫ শতাংশ কমে ৫,৬৯৮.৫৪ এ দাঁড়িয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার এএসএক্স-২০০ কমেছে ০.১১ শতাংশ যার বর্তমান অবস্থান ৭,৪০৮.৮০। এখানে আর্থিক খাতের সাবইনডেক্স কমেছে ০.২৯ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিযার কোস্পি সূচক ০.৮৯ শতাংশ কমে ২,৮৬৪.২৪ এ অবস্থান করছে। এবং কোসডাক ১.৪৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৯৪৩.৯৪ দাঁড়িয়েছে।
ভারতে, নিফটি-৫০ আগের পতনের ধারা থেকে ফিরে এসেছে। এবং দিনের শেষ দিকে সুচক বেড়েছে ০.১২ শতাংশ।